সোমবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। প্রধানমন্ত্রী জাকার্তার হালিম পারদানা কুসুমা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায়। এ তথ্য জানিয়েছেন তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ৩ বাহিনীর প্রধান এবং পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
ইন্দোনেশিয়ার পারদানা কুসুমা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার পর ইন্দোনেশিয়ার নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশু সুরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইয়োহানা সুসানা ইয়েমবাইস এবং জাকার্তায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আজমল কবির সেখানে তাকে স্বাগত জানাবেন।
বিমানবন্দর থেকে মোটর শোভাযাত্রা করে শেখ হাসিনাকে নেয়া হবে জাকার্তার সাংরি-লা হোটেলে। এ সফরে সেখানেই অবস্থান করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নিরাপত্তা বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস টিম ও মিডিয়া প্রতিনিধি এবং ব্যবাসয়ীদের একটি প্রতিনিধি দল এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছে।
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২১টি দেশ নিয়ে গঠিত ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) বর্তমান চেয়ার ইন্দোনেশিয়া ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের আয়োজক।
‘শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরের জন্য সমুদ্র সহযোগিতা জোরদার’ এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনাসহ মোট ১৬ জন প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর এ সম্মেলনে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
সফরের প্রথম দিন শেখ হাসিনা জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারের (জেসিসি) প্লেনারি হলে ‘লিডার্স ওয়েলকামিং ডিনারে’ অংশ নেবেন।
মঙ্গলবার সকালে জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। এরপর ‘অ্যাডপশন অব দ্য এজেন্ডা অ্যান্ড প্রোগ্রাম অব ওয়ার্ক’ বিষয়ক অধিবেশনে যোগ দেবেন।
পরে ‘শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরের জন্য সমুদ্র সহযোগিতা জোরদার’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
সম্মেলনে অংশ নেয়ার ফাঁকে ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টসহ কয়েকজন নেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে তার।
ভারত, বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, কমোরস, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কেনিয়া, মাদাগাস্কার, মালয়েশিয়া, মরিশাস, মোজাম্বিক, ওমান, সেসলস, সিঙ্গাপুর, সোমালিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, তানজানিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইয়েমেন ও দক্ষিণ আফ্রিকা আইওআরের সদস্য।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান ও মিসর এই জোটের ডায়লগ পার্টনার।
৩ দিনের সফর শেষে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাকার্তা থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে রওনা হয়ে দুপুরের পর ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।