স্টাফ রিপোর্টার : ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভ্যালস সিরিয়া থেকে পালিয়ে আসা আরো শরণার্থী গ্রহণে উপসাগরীয় দেশগুলোকে আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউরোপ তাদের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে বলকান অঞ্চলে ‘মানবিক বিপর্যয়’ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ভ্যালস শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমি আবার বলছি, ইউরোপ সিরিয়া থেকে আসা সব শরণার্থীকে গ্রহণ করতে পারে না। এ কারণে সিরিয়ায় কূটনীতিক, সামরিক ও রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন।’
প্যারিসের উপকণ্ঠ এভরির বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রত্যেক দেশ বিশেষ করে উপসাগরীয় দেশগুলোকে ভূমিকা পালন করতে হবে।’ আলোচনাকালে হামলার প্রতিক্রিয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। দুই সপ্তাহ আগে প্যারিসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ লোক দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের বেশিরভাগই পার্শ্ববর্তী দেশ লিবিয়া, জর্ডান ও তুরস্কে গেছেন।
তবে সৌদী আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলো এখনও শরণার্থীদের জন্য দুয়ার খুলে দেয়নি। অন্যদিকে ইউরোপ হাজার হাজার শরণার্থীদের জন্য একটি অভিন্ন নীতি গ্রহণে হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার শরাণার্থী ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সীমান্তে এসে পৌঁচাচ্ছে।
ভ্যালস সতর্কবাণী করেন, ইইউ যথাযথভাবে সীমান্ত বন্ধ না করলে এই শীতে বলকান অঞ্চলে মানবিক বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে এবং ইউরোপ ফের সীমান্ত বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে।
প্রকৃত শরণার্থী ও সন্ত্রাসবাদের মধ্যে সম্পর্ক থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাখান করলেও তিনি শরণার্থীদের সঙ্গে সন্ত্রাসীরাও ইইউতে ঢুকে যাওয়ার বিপদের কথাও তুলে ধরেন। প্যারিস হামলায় জড়িত ব্যক্তিরা শরণার্থীদের সঙ্গে ইউরোপে ঢুকেছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত আট লাখেরও বেশি শরণার্থী সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপ এসে পৌঁচেছে। শরণার্থীদের বেশিরভাগ এসেছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।