অগ্রসর রিপোর্ট :মুম্বাইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দিকেই বৃহস্পতিবার নজর ছিল দিনভর। এদিন আদালতে তোলা হয় গোয়াগামী ক্রুজ থেকে গ্রেফতার শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানসহ মাদক মামলায় অভিযুক্ত অপর সাতজনকে। এদিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের প্রধান আরএম নেরলিকারের এজলাসে শুনানি হয়েছে। বাদী ও বিবাদী পক্ষের ম্যারাথন সওয়াল-জবাবের পর শাহরুখপুত্র-সহ অন্যদের তৃতীয় দফার এনসিবি কাস্টডি না-মঞ্জুর করে কোর্ট।
এদিন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে আরিয়ানসহ আট অভিযুক্তের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত কাস্টডি দাবি করেছিল। তবে সেই আবেদন নাকচ করেন আদালত। এনসিবির রিমান্ডের আবেদনকে ‘অস্পষ্ট’ আখ্যা দেন বিচারক। এবং আরিয়ানসহ বাকি সব অভিযুক্তের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আদালতের কথায়, আরিয়ানের থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গ্রেফতার অভিযুক্ত মাদকচক্রী অর্চিত কুমারের সঙ্গে আরিয়ানকে জেরা করবার উপযুক্ত সময় ছিল এনসিবির কাছে। কিন্তু সেই সময়কে কাজে লাগায়নি তারা।
আরিয়ানের বন্ধু আরবাজ মার্চেন্টকে গত শনিবারই ক্রুজ থেকে ৬ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার করেছিল এনসিবি, এরপর আরিয়ানকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অর্চিতকে গ্রেফতার করে এনসিবি। তার কাছ থেকেও মাত্র ২.৬ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়েছে।
গতকাল (বুধবার) গ্রেফতার করা হয় অর্চিত কুমারকে।
এদিন আরিয়ানসহ অপর অভিযুক্তদের আইনজীবীর তরফে জামিনের আবেদন দাখিল করা হয়েছিল। তবে এনসিবির তরফে সেই শুনানির বিরোধিতা করেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অনিল সিং। আদালত এদিনের মতো স্থগিতাদেশ দেন জামিনের আবেদনের শুনানিতে, আগামীকাল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে আরিয়ান খানের জামিনের আবেদনের শুনানি চলবে।
জেল হেফাজত মঞ্জুর হলেও বৃহস্পতিবার এনসিবির ডেরাতেই থাকবেন আরিয়ানরা।
জেলে অভিযুক্তদের নিয়ে যাওয়ার জন্য কোভিড পরিস্থিতিতে আরটি-পিসিআর রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। সঙ্গে তাদের ভ্যাকসিনেশনের বিস্তারিত তথ্যও আগেভাগে জমা দিতে হয় জেল কর্তৃপক্ষকে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস