”আমি খুবই কৃতজ্ঞ যে কলকাতার মাটিতে দাঁড়িয়ে এখনকার টেলি-সিনে আজীবন সম্মাননা পেলাম। কলকাতা তথা ভারতের শিল্পীরা খুবই আন্তরিক, তাদের অনেকের সঙ্গেই আমার ভালো সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের; আজকের এই সম্মানের কথা আমার মনে থাকবে।”
গতকাল রোববার ৫ জুন সন্ধ্যায় কলকাতায় টেলি-সিনে সোসাইটির আজীবন সম্মাননা হাতে নিয়ে এইভাবেই প্রথম প্রতিক্রিয়া জানালেন বাংলাদেশের নায়করাজ রাজ্জাক। দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে তখন পিনপতন নীরবতায় রাজ্জাকের কথা শুনছিলেন দর্শক-শ্রোতারা। নায়করাজের কথা শোনার পর মুহুর্মুহু করতালিতে মুখরিত হয় নজরুল মঞ্চ।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডশিল্পী আইয়ূব বাচ্চু ছাড়াও এদিন টেলি-সিনে সম্মাননা দেওয়া হয় বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পী হাবিব, কণাকে। অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় বর্ষীয়ান ভারতীয় অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিককে। অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জিসহ কলকাতার ছোট পর্দার বেশ কয়েকজন নামী অভিনেতা-অভিনেত্রীও পুরস্কার পেয়েছেন।
আয়নাবাজির ছবির পরিচালক অমিতাভ রেজা এবং গল্পকার গাউসুল আজম শাওন ছাড়াও এদিন টেলি-সিনের সম্মাননা পান বাংলাদেশের অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান শেষে কলকাতার শিল্পীদের উপস্থাপনায় বর্ণাঢ্য একটি নৃত্য উপভোগ করেন দর্শক-শ্রোতারা। শুধু তাই নয় বরং বাংলাদেশের আইয়ূব বাচ্চু এবং কলকাতার রুপমের যৌথ পরিবেশনায় একাধিক ব্যান্ড সঙ্গীত পরিবেশন ছিল গোটা অনুষ্ঠানের অন্যতম চমক।
প্রসঙ্গত, ২০০০ সাল থেকে কলকাতার টেলিভিশন এবং সিনেমার কলাকুশলীদের এই শিল্পে অবদানের জন্য সম্মাননা দিয়ে আসছে কলকাতার টেলি-সিনে সোসাইটি। মোট চারটি বিভাগে ১৮টি শাখায় এই সম্মাননা দেওয়া হয়। প্রথম দিকে শুধু কলকাতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হলেও গত দুবছর ধরে এই সম্মাননার স্বীকৃতি দেওয়া শুরু হয় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও ছোটপর্দার কলাকুশলীদেরও। সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার।