অগ্রসর রিপোর্ট: উত্তর কোরিয়া তার সবচেয়ে বড় আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে বলে দাবি দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের সামরিক বাহিনীর। দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন সামরিক সূত্রের দাবি, ক্ষেপণাস্ত্রটি সমুদ্রে পড়ার আগে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে ছিল। এটি ৬ হাজার কিলোমিটারের বেশি উঁচ্চতায় উঠেছিল। জাপানের কর্মকর্তাদের ধারণা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০১৭ সালের পর এই প্রথম বৃহত্তম ক্ষেপণাস্ত্রের পূর্ণ-ক্ষমতার উৎক্ষেপণ এবং উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রের বিকাশের একটি বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনও জায়গায় পারমাণবিক ওয়ারহেড সরবরাহ করতে সক্ষম হতে পারে। তবে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে রেকর্ড সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এছাড়াও দেশটি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ৫ মার্চ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় বলে দাবি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়া জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এসব পরীক্ষা চালাচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো দাবি করে আসছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি উৎক্ষেপণের নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই উৎক্ষেপণটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক রেজুলেশনের নির্লজ্জ লঙ্ঘন এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করার পাশাপাশি এই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে। কূটনীতির দরজা বন্ধ হয়নি, তবে পিয়ংইয়ংকে অবিলম্বে তার অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।’
উত্তর কোরিয়া ২০১৭ সাল থেকে তার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিত রেখেছিল। যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্রদেশগুলি যতক্ষণ উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখান করবে ততক্ষণ তারা আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাবে।