এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,১৯৯৬ সালের অক্টোবরে আমেরিকার বুকে কাজ করার অনুমতি পান মেলানিয়া। কিন্তু তার সাত সপ্তাহ আগেই টাকার বিনিময়ে মডেলিং করে আইন ভঙ্গ করেন অভিবাসী এই আমেরিকান। প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের মার্চে গ্রিন কার্ড পান মেলানিয়া ট্রাম্প। এরপর তিনি ২০০৬ সালে আমেরিকার নাগরিক হন। স্বামীর পক্ষে প্রচার করতে গিয়ে মেলানিয়া সব সময়ই বলে আসছেন, তিনি আইনগতভাবেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন। কখনওই তিনি অভিবাসন বিষয়ক আইন ভঙ্গ করেননি।
তবে এপির প্রতিবেদন বলছে, মেলানিয়া ট্রাম্প মাঝেমধ্যেই মডেল হিসেবে কাজ করেছেন তার প্রথম নামটি ব্যবহার করে। আবার আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি বলেছেন, বি১/বি২ ভিজিটর ভিসার অধীনে ১৯৯৬ সালের ২৭শে আগস্ট তিনি প্রথমবারের মতো স্লোভেনিয়া থেকে আমেরিকাতে যান। ১৯৯৬ সালের ১৮ই অক্টোবর তিনি সেখানে কাজের বৈধতা পান। তবে এপির হাতে নথিগুলোর মধ্যে দিয়ে তারা জানিয়েছে, মেলানিয়াকে ১০ থেকে ১৫ই অক্টোবরের মধ্যে ১০টি মডেলিং এসাইনমেন্টের জন্য অর্থ পরিশোধ করা হয়েছিল। ওই সময় তাকে আমেরিকাতে কাজ করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজের বিনিময়ে কোনও অর্থ নিতে অনুমোদন দেয়া হয়নি তখনও। এপি এই বিষয়ে তাদের হাতে থাকা তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে বলছে, তার ভিসার বাইরে ছিল এই অর্থ লেনদেন, যা অবৈধ। ফলে নতুন করে নির্বাচনের মুখে সমস্যায় পড়লেন ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া।
প্রসঙ্গত, এর আগে একাধিকবার যৌন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এবার বিতর্কে মেলানিয়া।