অগ্রসর প্রতিবেদক : সিরিয়ার একটি হাসপাতালে ইসলামিক স্টেটের হামলায় সরকারি আসাদ বাহিনীর অন্তত ৩৫ জন সেনাসদস্য নিহত হয়েছে। খবর বিবিসি।
আইএস দেইর আল-জৌরের একটি হাসপাতাল গুড়িয়ে দিলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
সিরীয় একটি মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, হামলায় ৩৫ জন সরকারি সেনা নিহত ও অন্তত ২০ আইএস যোদ্ধা নিহত হয়েছে। হামলার পর হাসপাতালের বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে জিম্মিও করা হয়েছে।
খবরে বলা হয়, আইএস সদস্যরা দেইর আল-জৌরে অবস্থিত আল-আসাদ হাসপাতালে হামলা চালালে সেখানকার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সরকারি বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
আইএস হাসপাতালটির সাময়িক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিলেও পরবর্তীতে সরকারি বাহিনী তা পুনরায় উদ্ধার করতে সমর্থ হয়।
দেইর আল জৌরের অর্ধেকেরও বেশি এলাকা আইএসের দখলে, কিন্তু তারা পুরোটার দখল নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে লেবাননের শিয়া সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লার শীর্ষস্থানীয় সামরিক কমান্ডার মুস্তাফা আমিনি বদরেদ্দিন হত্যার ঘটনায় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরোধী সুন্নি বিদ্রোহীদের দায়ী করেছে সংগঠনটি। প্রথমে তারা ইসরায়েলকে দায়ী করলেও পরবর্তীতে জিহাদিদের দায়ী করে।
বদরেদ্দিন সিরীয় বিদ্রোহীদের গোলাবর্ষণে দামেস্ক বিমানবন্দরের কাছে নিহত হয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তদন্তে দেখা গেছে বিস্ফোরণটি, যা আমাদের দামেস্ক বিমানবন্দরের কাছে একটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ঘটানো হয়েছিল এবং যার কারণে কমান্ডার মুস্তাফা বদরেদ্দিন শহীদ হয়েছেন, ওই এলাকার তাকফিরি গোষ্ঠীর গোলাবর্ষণের কারণে ঘটেছে।’
‘তাকফিরি’ বলতে সশস্ত্র সুন্নি ইসলামপন্থী গোষ্ঠীকে বুঝানো হচ্ছে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থনে হাজার হাজার যোদ্ধা পাঠিয়েছে হিজবুল্লাহ।
মুস্তাফা বদরেদ্দিনকে ২০১১ সালে সিরিয়ার হেজবুল্লাহর সামরিক প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।