একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মৃত্যুদন্ডের রায়ের খসড়া ফাঁসের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার রায় আগামী ১৪ আগস্ট ঘোষনা করা হবে।
এই মামলার আসামিরা হলেন- সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সাকার আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম ফখরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী ফারুক আহমেদ, অস্থায়ী কর্মচারী নয়ন আলী, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের সহকারী আইনজীবী মেহেদী হাসান ও ম্যানেজার একেএম মাহাবুবুল আহসান।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম শামসুল আলম এ আদেশ দেন।
এদিকে সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ছাড়া জামিনে থাকা চার আসামি ব্যারিস্টার একেএম ফখরুল ইসলাম, মাহবুবুল আহসান, ফারুক আহমেদ ও নয়ন আলীর জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদন্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ রায় ঘোষণার আগেই তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা রায়ের কপি ফাঁস করে দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
রায় ঘোষণার দিন সকালেই তার স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ আনেন। ওই দিন তারা রায়ের ‘খসড়া কপি’ মিডিয়া কর্মীদের দেখান। ওই সময় তারা আদালতের রায় নিয়ে কটাক্ষও করেন।
রায় ঘোষণার পরদিন ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) একেএম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে এ মামলায় ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
উল্লেখ্য,, ২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর রাতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।