অগ্রসর রিপোর্ট : চোরাচালানের সোনা বহনের অভিযোগে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ জব্দ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে প্রথমবারের মতো কোনো বিমান জব্দের ঘটনা এটি। এক দশক ঢাকা বিমানবন্দরে দুইটি বিমান জব্দ করা হয়েছিল।
কাস্টমস সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসা বিমান বাংলাদেশের একটি উড়োজাহাজ অবতরণ করে। উড়োজাহাজটির একটি আসনের নিচ থেকে ২ কেজি ৩২০ গ্রাম ওজনের সোনার বার উদ্ধার করা হয়। পরে বিকালে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উড়োজাহাজটি জব্দ করেন।
জানা গেছে, বিমানটি অবতরণের পর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সহযোগিতায় এই উড়োজাহাজের ‘৯জে’ আসনের নিচ থেকে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ওই সোনার বার জব্দ করা হয়। এই অভিযানে অংশ নেন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা শাখার কর্মীরাও।
কর্মকর্তারা বলছেন, সোনার বারগুলো উড়োজাহাজের আসনের নিচে বিশেষ কায়দায় প্লাস্টিকের টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল। উড়োজাহাজটির কারও সহযোগিতা ছাড়া কোনো যাত্রীর পক্ষে এভাবে সোনার বার লুকানোর কথা নয়।
এ ঘটনায় ওই আসনের যাত্রী আতিয়া সামিয়াকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা এলাকায়। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার আতিয়া সামিয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘ওশেন গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড জুয়েলারি’ নামের একটি দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন। দেশেও তিনি অনলাইনে সোনা বিক্রি করেন।
তবে জব্দ করা উড়োজাহাজটি চট্টগ্রামে যাত্রীদের নামিয়ে সকালেই ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। এ ব্যাপারে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিনহাজ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, যাত্রী পরিবহনের স্বার্থে ন্যায় নির্ণয়কারী কর্মকর্তা চাইলে তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জিম্মায় দিতে পারেন।
বিমান জব্দের বিষয়ে তিনি বলেন, চোরাচালানের পণ্য বহন করায় কাস্টমস আইন অনুযায়ী উড়োজাহাজটি জব্দ করা হয়েছে।
এতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও জবাবদিহির মধ্যে আসবে বলে মনে করেন তিনি।