![Imran-letter-thereport24.com](https://agrasor.com/wp-content/uploads/2015/11/Imran-letter-thereport24.com_-300x186.jpg)
চিঠিতে ৬৩ বছর বয়সী ইমরান লিখেছিলেন, ‘যদি এই মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করা হয় তবে তা শুধু আমাদের এই অঞ্চলই নয় বিশ্বব্যাপী শান্তি ও বিচার প্রতিষ্ঠায় বৃহত্তর ভূমিকা রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় সালাউদ্দিন পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছিলেন বলে প্রমাণ রয়েছে। এ কারণে ওই সময়ে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অপরাধগুলো করার কোনো সম্ভাবনাই নেই।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে ফাঁসি দেওয়ার ঘটনায় এর আগে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেয় পাকিস্তান হাইকমিশন। এতে বলা হয়, ‘আমরা গভীর উদ্বেগ ও বেদনার সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে কার্যকর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাকিস্তান গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
বাংলাদেশে ত্রুটিপূর্ণ বিচারের কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
পাকিস্তান পিপলস পার্টি’র (পিপিপি) পক্ষ থেকেও দেশটির সংসদে এ মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নিন্দা জানানো হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তান হাইকমিশনের এ ধরনের বিবৃতির কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। বিবৃতির পর গত সোমবারই পাক হাইকমিশনারকে তলব করে প্রতিবাদ জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব নজরুল ইসলামকে পাকিস্তানের বিবৃতির একটি কড়া প্রতিবাদ পাঠাতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি শনিবার রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে (আন্তর্জাতিক সময় রবিবার) কার্যকর করা হয়।