স্টাফ রিপোর্টার: মালির উত্তরাঞ্চলে জাতিসংঘের একটি ঘাঁটিতে শনিবার রকেট হামলায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর দুই সদস্য নিহত হয়েছে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
জিহাদি আনসার দ্বীনী গ্রুপ এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এ হামলা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে।
মালির জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন (মিনুসমা) জানায়, কিদাল এলাকায় ভোরের আগে এই হামলা চালানো হয়। এতে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর।
প্যারিসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা ও সিনাইয়ে রুশ বিমান ভূপাতিতের মতো সন্ত্রাসী তৎপরতা ও বামাকোর একটি হোটেলে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় গোটা বিশ্ব যখন উদ্বিগ্ন ঠিক তখনই সর্বশেষ এই হামলা চালানো হলো। মাত্র এক সপ্তাহ আগে বামাকোর ওই হোটেলে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।
মিনসুমার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা কিদালে আজ ভোরে আমাদের ক্যাম্পে রকেট হামলা চালিয়েছে।’
জাতিসংঘ জানিয়েছে, নিহতদের দুই জন গিনির শান্তিরক্ষী ও একজন বারকিনা ফাসোর ঠিকাদার।
জাতিসংঘের অপর এক সূত্র জানায়, ‘সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের নিরাপত্তা বাহিনীর ১৫ সদস্য এই ঘটনার তদন্তের জন্য মালি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ‘এই হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা উচিত।’
এই ঘটনায় জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
তিনি এই ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
আনসার দ্বীনী’র জ্যেষ্ঠ নেতা হামাদৌ আগ খিলিনি বলেছেন, ‘ইসলামের শত্রুরা আমাদের দেশে যে সহিংসতা চালিয়েছে তার জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এই ঘটনার দায়িত্ব স্বীকার করছি।’
আনসার দ্বীনী গ্রুপ আল-কায়েদা ইন দ্য ইসলামিক মাগরিব (একিউআইএম) ও মাসিনা লিবারেশন ফ্রন্টের মিত্র।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।