অগ্রসর রিপোর্ট :জরুরি ব্যবহারের জন্য ভারত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার অনুমোদন দিয়েছে। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) দেশটির ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই টিকার অনুমোদন দেয়। সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশে টিকাটির বিতরণ ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারতেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ব্যক্তি করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারত বুধবার (৬ জানুয়ারি) এই টিকার প্রয়োগ শুরু করতে যাচ্ছে।
তবে ভারতের কেন্দ্রীয় ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (সিডিএসসিও) প্রতিনিধিরা এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ইতোমধ্যে ব্রিটেন এবং আর্জেন্টিনা জরুরি ব্যবহারের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকার অনুমোদন দেয়।
সিডিএসসিও ফাইজার এবং জার্মানির বায়োএনটেক এবং ভারতের ভারত বায়োটেকের টিকা জরুরি-ব্যবহারে অনুমোদনের জন্যও বিবেচনা করছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য টিকাগুলোর তুলনায় সস্তা এবং বিতরণ করা সহজ হওয়ায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা/অক্সফোর্ডের টিকাটি বিশ্বের টিকাদান কর্মসূচির চিত্র বদলে দিতে পারে।
তুলনামূলকভাবে দুর্বল স্বাস্থ্য অবকাঠামোযুক্ত দেশগুলোর জন্য ফাইজারের বিপরীতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহার করা বেশি সুবিধাজনক হবে। মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (মাইনাস ৯৪ ফারেনহাইট) তাপমাত্রার পরিবর্তে সাধারণ রেফ্রিজারেশনে সংরক্ষণ এবং পরিবহন করা যায় বলে এই টিকার ব্যাপারে বাড়কি প্রত্যাশা রয়েছে।
ভারত এ পর্যন্ত ১ কোটিরও বেশি সংক্রমণ রেকর্ড করেছে, যদিও সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের উচ্চমাত্রার সংক্রমণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২০২১ সালের প্রথম ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে দেশটির ১৩৫ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।