অগ্রসর রিপোর্টঃ সরকার বেসরকারি হজ এজেন্সির সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দশটি হজ ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় এ বছর প্রায় ৫ হাজার লোকের হজ পালনে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল জলিল আজ বাসসকে জানান, এ সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য হজ এজেন্সিতে ওয়েবসাইটে ফ্লাইট সিডিউল ও টিকিটের অবস্থান প্রকাশ করতে বিমান কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান হয়েছে। প্রতিটি ফ্লাইটে ৩১৯ জনের পরিবর্তে ৪১৯ জনের একোমেডশন করা এবং ভ্রমনের দিনের ৭২ ঘন্টা আগে ভিসা ও বিমান টিকিট নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
জলিল বলেন, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ভিসা প্রসেস করি। ইতোমধ্যেই ৩১৯টি হজ এজেন্সির বিপরিতে আমরা ৬৮ হাজার ভিসা প্রসেস করেছি।
এর আগে বিমান বাংলাদেশের জনসংযোগ বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার খান মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিপুল পরিমাণ লোকশানের কারনে দশটি হজ্ব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বিমান কর্তৃপক্ষ ভ্রমনের দিনের ৭২ ঘন্টা আগে ভিসা ও টিকিট নিশ্চিত করতে সকল হজ্ব এজেন্সির প্রতি আহবান জানিয়েছে।
বেসামরিক বিমান মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাই শুরু হয় এবং এ পযর্ন্ত প্রায় ১৫ হাজার হাজী সৌদি আরবে গিয়েছেন।
এ বছর মোট এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন পবিত্র হজ পালন করবেন বলে ধারনা করা হচ্ছ্।ে এর মধ্যে মাত্র দশ হাজার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করবেন। বাকি ৯১,৭৫৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করবেন। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পযর্ন্ত হাজীদের বহনকারি ফ্লাইট সৌদি আরবে যাবে এবং ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ও শেষ হবে ১৬ অক্টোবর। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে বলে ধারনা করা যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ আগস্ট রাজধানীর আসকোনা হজ্ব ক্যাম্পে হজ- ২০১৬ এর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।