স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে একটি বিশেষ ইউনিট গঠনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি বলেন, এই বাহিনীতে ৫০ হাজার নতুন পোস্ট সৃষ্টি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পুলিশ সপ্তাহ-২০১৬ উদ্বোধনকালে একথা বলেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে একটি বিশেষ ইউনিট গঠনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পুলিশ বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করতে তাঁর সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, যেকোন পরিস্থিতি যাতে সব সময় নিয়ন্ত্রণে থাকে, এজন্য তাঁর প্রশাসন এই বাহিনীর সদস্য বৃদ্ধি করতে চায়। তিনি বলেন, আমরা পুলিশ সদস্যদেরকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দিতে চাই, যাতে তারা যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে সন্ত্রাসী কর্মকা- চলছে। অথচ আল্লাহর অশেষ রহমতে বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশ এ ক্ষেত্রে সতর্ক রয়েছে।
শেখ হাসিনা পুলিশ বাহিনীর উন্নয়ন ও কল্যাণে তাঁর সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর বর্তমান সদস্য সংখ্যা দেড় লাখের অধিক।
তিনি বলেন, আমরা গত ৭ বছরে ৭৩৯টি ক্যাডার পদসহ পুলিশ অর্গানোগ্রামে ৩২ হাজার ৩১টি পদ সৃষ্টি করেছি। তবে দেশের জনসংখ্যার তুলনায় এই পদসংখ্যা যথেষ্ট নয়। আমরা আরো ৫০ হাজার পদ সৃষ্টি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৭৭টি ক্যাডার পদসহ ১৩ হাজার ৫৫৮টি পদে ইতোমধ্যেই পুলিশ সদস্য নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। অন্য জনশক্তি নিয়োগের প্রক্রিয়া শিগগির সম্পন্ন হবে।
পাশাপাশি আরো লোক নিয়োগ দেয়া হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পরিবহন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ গঠন করেছে। এছাড়া পুলিশ তদন্ত ব্যুরো (পিবিআই), ট্যুরিস্ট পুলিশ, রিভার পুলিশ, বিশেষ নিরাপত্তা ব্যাটালিয়ন গঠন করা হয়েছে। জনগণ এ সকল উদ্যোগের সুফল পেতে শুরু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার জাতির পিতার দেয়া আইজিপি ‘র্যাংক ব্যাজ’ চালু করেছে। সাব-ইন্সপেক্টর/সার্জেন্ট পদ দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা এবং ইনস্পেক্টর পদকে ক্লাস ওয়ানে উন্নীত করা হয়েছে। আমরা পুলিশ সদস্যদেরকে এখন শতভাগ রেশন দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী এর আগে একটি খোলা জীপে করে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের প্যারেড পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে এসে পৌঁছুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের আইজি একেএম শহীদুল হক এবং অতিরিক্ত আইজিপি ও প্যারেড কমিটির সভাপতি মোকলেসুর রহমান তাঁকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে বিগত এক বছরে পুলিশ বাহিনীতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় চার ক্যাটাগরিতে ১০২ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক বিতরণ করেন। ১৯ জন পুলিশ বিপিএম পদক এবং ৪০ জন পিপিএম পদক পান। ২৩ জন পেয়েছেন বিপিএম সেবা পদক এবং ৪০ জন পেয়েছেন পিপিএম সেবা পদক।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।