![বিমানের যাত্রীরা মুক্ত, ছিনতাইকারীদের আত্মসমর্পণ](http://www.abnews24.com/assets/images/news_images/2016/12/24/libya-airplane-hijacker4_52227.jpg)
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিবিয়ার অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী আফ্রিকিয়াহ এয়ারওয়েজের বিমানটি ১১৮ আরোহীসহ স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে। লিবিয়ার সাবাহ থেকে রাজধানী ত্রিপোলিগামী বিমানটি ছিনতাইয়ের পর ছিনতাইকারীরা রুট বদলে মাল্টার দিকে নিয়ে যায় এবং মাল্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটি জরুরি অবতরণে বাধ্য করে।
এয়ারবাস এ৩২০ বিমানটি মাল্টার বিমানবন্দরে অবতরণের পর থেকেই সেটি ঘিরে থাকে দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যসহ নিরাপত্তাকর্মীরা। এক পর্যায়ে বিমানের আরোহীদের বিমান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয় ছিনতাইকারীরা। পরে তারাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। তবে বিমানটি ছিনতাইয়ে ঠিক কতজন জড়িত ছিল সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি বলে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, ছিনতাইকারীরা লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির সমর্থক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সকালে বিমানটি ছিনতাইয়ের কবলে পড়ার পর আফ্রিকিয়াহ এয়ারওয়েজ বিষয়টি নিশ্চিত করে। সে সময় প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিমানটি ছিনতাইয়ে দুইজন জড়িত, যারা বিমানটি বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। বিমানটি মাল্টার বিমানবন্দরে অবতরণের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী জোসেফ মাসকট জানান, মাল্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থানরত নিরাপত্তা কর্মীরা টুইটারে জানিয়েছেন যে বিমানবন্দরে ‘অবৈধ হস্তক্ষেপের’ ঘটনা ঘটেছে।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেখানে দ্রুত জরুরি বাহিনী পাঠানো হয়েছে বলে সে সময় জানান প্রধানমন্ত্রী মাসকট। এ ঘটনার পর মাল্টাগামী কয়েকটি ফ্লাইটের পথ পরিবর্তন করে ইতালির সিসিলি দ্বীপে পাঠানো হয়।