অগ্রসর রিপোর্ট :ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েনকে ডিবির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিনেত্রী পরীমনির সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে সাকলায়েনকে তার চলতি দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার। এছাড়া তদন্তের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ পেলে সাকলায়েনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাফিজ আক্তার বলেন, সাকলায়েনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়টি আমরা শুনেছি। গণমাধ্যমের খবর যে ভিডিও আমরা দেখেছি তা অনৈতিক। এটা সে ঠিক করেনি। এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাকে আমরা আর ডিএমপিতে রাখছি না। এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।
সাকলায়েনের বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। তদন্তে সত্যতা প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে তাকে সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ করবেও বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, সাভারের বোট ক্লাবের ঘটনায় পরীমনি যে মামলা করেছেন সেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন। সে সূত্রে সাকলায়েনের বাসায় একাধিকবার যাতায়াতও করেছেন পরীমনি। এছাড়া তারা বিভিন্ন সময় গাড়িতে করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরাও করেছেন।
সম্প্রতি সাকলায়েনের বাসায় যাতায়াতের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, ১ আগস্ট সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে পরীমনির সাদা রংয়ের হ্যারিয়ার গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো-ঘ ১৫ ৯৬ ৫৩) নিয়ে গোলাম সাকলায়েনের রাজারবাগের অফিসার্স কলোনির মধুমতি ভবনের ৯/সি নম্বর সরকারি ফ্ল্যাটে বাসায় আসেন। প্রথম সেই গাড়ি থেকে লাল রংয়ের টি-শার্ট পরে বের হন সাকলায়েন। সাদা রংয়ের একটি স্লিপিং গাউন পরে নামেন নায়িকা পরীমনি। সেই রাতে সোয়া ২টায় বাড়ি থেকে বের হন পরীমনি। তবে রাতে বের হওয়ার সময় পরীমনির পরনে ছিল কালো রংয়ের পোশাক আর সাকলায়েনের গায়ে সাদা টি-শার্ট।
সম্প্রতি ডিবিতে জিজ্ঞাসাবাদেও পরীমনি সাকলায়েনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে কথা স্বীকার করেন। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুও সম্পর্কে বিষয়ে বিস্তারিত বলেন।
ডিবির একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, সম্পর্কের শুরুতে সাকলায়েন নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে মামলার তদন্তের সময় পরীমনির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কিন্তু সাকলায়েন বিবাহিত, বিষয়টি জানার পর পরীমনি ও তার মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। পরে দীপুর উদ্যোগে পরীমনির সঙ্গে তার সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। গত কোরবানি ঈদের সময় পরীমনির বাসায় তিন দিন ছিলেন সাকলায়েন। তখন বাসায় তারা ছাড়া আর কেউ ছিল না।