মূলত বিছানা, বালিশ বা সোফা এইসকল জিনিসে ছারপোকার উপদ্রব অনেক বেশি হয়ে থাকে। ছারপোকার কামড়ে জ্বালাপোড়া, ব্যথা এবং অ্যালার্জির সমস্যা শুরু হয়ে যায় যা মারাত্মক আঁকার ধারণ করতে পারে। তাই বিছানাপত্র থেকে ছারপোকার উপদ্রব যতোটা সম্ভব দূর করে ফেলা উচিত।
ছারপোকা সাধারণত রাতেই অধিক সক্রিয় থাকে এবং মানুষের অগোচরে রক্ত চুষে নেয়। চলুন জেনে নেয়া যাক কি করে মুক্তি পাবেন বিরক্তিকর ছারপোকার সমস্যা থেকে-
১. আসবাবাপত্র ও লেপ তোশক পরিষ্কার রাখার সাথে সাথে নিয়মিত রোদে দিন। এতে করে ছারপোকার আক্রমণ কমে যাওয়ার সাথে সাথে ছারপোকা থাকলে সেগুলোও মারা যাবে।
২. ছারপোকার হাত থেরে রেহাই পেতে আপনার বিছানা দেয়াল থেকে দূরে স্থাপন করুন। শোবার আগে ও পরে বিছানা ভালো করে ঝেড়ে ফেলুন সাথে পরিষ্কার পরিছন্ন থাকুন।
৩. ঘরের যে স্থানে ছারপোকার বাস সেখানে ল্যাভেন্ডার অয়েল স্প্রে করুন। দুই থেকে তিনদিন এভাবে স্প্রে করার ফলে ছারপোকা আপনার ঘর ছেড়ে পালাবে।
৪. এক লিটার পানিতে ডিটারজেন্ট যেমন সার্ফ এক্সেল ঘন করে মিশিয়ে স্প্রে করুন। এ উপায়ে স্প্রে করার ফলে ছারপোকা সহজেই মারা যাবে।
৫. বিছানাসহ অন্যান্য জায়গা থেকে ছারপোকা তাড়াতে সারা ঘরে ভালো করে ভ্যাকুয়াম করুন। ভ্যাকুয়াম করার সময় খেয়াল রাখুন যাতে ঘরের মেঝেও বাদ না পড়ে। এতে করে আপনার ঘরে ছারপোকার আক্রমণ অনেকটাই কমে যাবে।
৬. আপনার ঘরের ছারপোকা তাড়াতে অ্যালকোহল ব্যবহার করতে পারেন। ছারপোকা প্রবণ জায়গায় সামান্য অ্যালকোহল স্প্রে করে দিন দেখবেন ছারপোকা মরে যাবে।
৭. ছারপোকা মোটামুটি ১১৩ ডিগ্রি তাপমাত্রাতে মারা যায়। ঘরে ছারপোকার আধিক্য বেশী হলে বিছানার চাদর, বালিশের কভার, কাঁথা ও ঘরের ছারপোকা আক্রান্ত জায়গাগুলোর কাপড় বেশী তাপে সিদ্ধ করে ধুয়ে ফেলুন। ছারপোকা এতে মারা যাবে।
৮. দোকান থেকে পোকামাকড় মারার ঔষধ কিনে ঘরে রাখুন। এবং সন্দেহজনক স্থানে কিছুটা স্প্রে করে দিন। তবে সাবধান থাকবেন পোকা মারার ঔষধের ক্ষেত্রে। মানুষের সংস্পর্শে না আসাই ভাল।