অগ্রসর রিপোর্টঃ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হাই উত্তর কোরিয়াকে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি পরিত্যাগের আহবান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের বারবার ‘উস্কানির’ মুখে যুক্তরাষ্ট্র যে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে তার পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
গত জানুয়ারিতে উত্তর কোরিয়া তাদের চতুর্থ পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পর থেকে বিভক্ত কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বেড়েছে। চলতি মাসের শেষে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ বার্ষিক সামরিক মহড়া চালালে এ উত্তেজনা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পার্ক বলেন, ‘আমি অবিলম্বে সব ধরণের উস্কানি এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে লক্ষ্য করে হুমকি ও গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি বন্ধ করতে উত্তর কোরিয়ার সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।’
দুই কোরিয়া যখন জাপানের উপনিবেশিক শাসন থেকে কোরীয় উপদ্বীপের স্বাধীনতার বার্ষিকী উদযাপন করছে তখন পার্ক উত্তর কোরিয়ার প্রতি এ আহবান জানালেন। ১৯৪৫ সালে কোরীয় উপদ্বীপ স্বাধীনতা লাভ করে।
বিভক্ত কোরীয় উপদ্বীপের একত্রীকরণের সঙ্গে ‘সত্যিকারের স্বাধীনতা’ যুক্ত উল্লেখ করে পার্ক বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধের ভয় না থাকলেই এটা কেবল সম্ভব।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের সকল উস্কানিমূলক কর্মকান্ড ও হস্তক্ষেপের পাল্টা জবাব দেবে সিউল।
সোমবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার এ ধরণের প্রচেষ্টা তাদেরকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে আরো বিচ্ছিন্ন ও অর্থনৈতিক সমস্যা সৃষ্টি করবে।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র গত মাসে টার্মিনাল হাই অ্যালটিচুড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) ব্যবস্থা মোতায়েনের যে ঘোষণা দিয়েছিল তার জবাব দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
পিয়ংইয়ং ও বেইজিং উভয়ে এ ঘোষণার নিন্দা জানিয়েছে। বেইজিং বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ তাদের নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ বিরোধী ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার হুমকি।
এ প্রসঙ্গে পার্ক বলেন, নিজেদের সুরক্ষার জন্য থাড মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার অগ্রাধিকার হল উত্তরের বেপরোয়া উস্কানি থেকে দক্ষিণের জনগণকে রক্ষা করা।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।