স্টাফ রিপোর্টার: আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে শুক্রবার রাতে ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তস্থল ছিল আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬ দশমিক ৩। ভূমিকম্পে অনেক লোক আহত হয়েছে। একই এলাকায় একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানার দুই মাস পর এ ভূমিকম্প আঘাত হানলো।
মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানায়, পাকিস্তান ও তাজিকিস্তানের সঙ্গে আফগান সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে।
ইউএসজিএসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, শুক্রবার দিবাগত রাত ১১ টা ৪৪ মিনিটে কাবুলের ২শ ৮০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ও ২০৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে এ ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ইউএসজিএস অবশ্য প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পের তীব্রতা ৬ দশমিক ২ বলে উল্লেখ করেছিল।
ভূমিকম্পে লোকজন ভয়ে বিভিন্ন বাসভবন থেকে রাস্তায় নেমে আসে এবং তারা ভূমিকম্প পরবর্তী ভ’কম্পনের আশংকা করেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত বাদাকশান প্রদেশ। এটি পাকিস্তান ও তাজিক সীমান্তের কাছে অবস্থিত।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক সাংবাদিক জানান, ভূমিকম্পের কারণে পাকিস্তানের রাজধানী ইসালামাবাদে বিভিন্ন ভবন কেঁপে ওঠে। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতেও ভূমিকম্পের প্রভাব পড়ে।
ভূমিকম্পে এখনও বড় ধরণের কোন ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পেশোয়ারে কমপক্ষে ৩০ জন এবং আফগানিস্তানের নানগরহার প্রদেশে ১২ জন আহত হয়েছে।
গত অক্টোবরে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার এক ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৪শ’ জন নিহত হয়। ২০০৫ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ৭৫ হাজারেরও বেশি লোক নিহত ও ৩৫ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়।
আফগানিস্তানে বিশেষ করে হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চলে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে।
নেপালে গত এপ্রিল ও মে মাসে ভূমিকম্পে ৮ হাজার ৯শ’র বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটে।
![](https://agrasor.com/wp-content/uploads/2024/04/970-x-90-px-2-1-2.jpg)
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।