অগ্রসর রিপোর্ট: রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দিনটি জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী পৃথক দুটি ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর এই মহান নেতার প্রতি সম্মান জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল বাঙালি জাতির স্থপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় বিউগলের করুন সুর বাজানো হয়।
পরে ১৫ আগস্ট শহীদ বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা, মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ এবং ১৪ দল ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
একদল বিপথগামী সৈনিক ১৯৭৫ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তাঁর তিন ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা শেখ জামাল, শেখ রাসেল এবং বঙ্গবন্ধুর আরো ঘনিষ্ঠ তিনটি পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়। এসময় বিদেশে অবস্থান করায় বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ছোট মেয়ে শেখ রেহানা প্রাণে রক্ষা পান।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী ৪২ বছর আগে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের বিশ্বের সবচেয়ে বর্বরোচিত হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার সাক্ষী ধানমন্ডির ৩২ এর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাসভবনে যান (বর্তমান বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর) এবং তাঁরা সেখানে কিছু সময় অতিবাহিত করেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে যান। সেখানে শায়িত ১৫ আগস্টের শহীদ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেলসহ সেদিনের শহীদদের কবরেও তিনি পৃষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং ফুলের পাঁপড়ি ছড়িয়ে দেন।
তিনি এ সময় শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ করেন এবং বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।