অগ্রসর রিপোর্ট :
সারাদেশের বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে।চট্রগ্রাম,জামালপুর,শরীয়তপুর,দিনাজপুর ও ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলার বন্যার পানি বিপদসীমার উপর প্রবাহিত হচ্ছে। টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢালে ফুঁসে উঠছে পদ্মা,যমুনা ও ব্রক্ষপুত্র। ২য় বারের মতো বন্যা দেখা দিয়েছে দেশের উত্তর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। শুধু পদ্মা, যমুনা ও ব্রক্ষপুত্রই নয়, এর শাখা নদীগুলোর পানিও উপচে পড়ছে আশেপাশের এলাকাগুলোতে।
আগামী ১০দিনের মধ্যে ব্রক্ষপুত্রের ভারত ও বাংলাদেশ অংশে পানি বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দ্যা ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম-রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্ট(ECMWF)।আরো বলাই হয়েছে, হিমালয়ের দক্ষিণাঞ্চলে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে এবং এ কারনেই পানি বৃদ্ধি পাবে।এর ফলে বিগত ২০০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বন্যা পরিস্থিতি হতে পারে।
এছাড়া গত শুক্রবার থেকে ব্রক্ষপুত্র অববাহিকার অঞ্চলগুলোতে পানি বাড়ছে এবং ১৯আগস্ট পর্যন্ত এই পানি ভাটির দিকে প্রবাহিত হবে বলে জানা গেছে।
সোমবার সকাল ৯টায় তাদের তথ্য অনুযায়ী পদ্মা, যমুনা, ব্রক্ষপুত্রসহ দেশের ২০টি নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২০০ বছরের বেশি সময়ের ইতিহাসে ব্রক্ষপুত্রের অববাহিকার উজানে বন্যারর মাত্রা সবচেয়ে ভয়াবহ হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঢাবি ইন্সটিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এন্ড ভালনারোবিলিটি স্টাডিজের শিক্ষক স্যার গওহার নঈম ওয়ারা জানান,আসামে বড় ধরনের বন্যা হচ্ছে এদিকে বৃষ্টি চলছে এবং ২১আগস্ট অমাবস্যা। এই পানি নেমে আসতে ৩-৪দিন সময় লেগে যাবে।এছাড়া আমাদের ব্রক্ষপুত্র ও পদ্মা অববাহিকার পানি বাড়ছে।
তিনি আরো বলেন, পদ্মার পানি এখনো বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও পানি যেভাবে বাড়ছে,তাতে ১৯তারিখের মধ্যে এ সীমা অতিক্রম করতে পারে।দুই নদীর পানি একত্রে বাড়ছে।
এদিকে অতিবৃষ্টির কারনে ঢাকার বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে আরো ২-৩ দিন হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে।