অগ্রসর ডেস্ক:শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগই গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শেখ হাসিনার ১০ম কারামুক্তি দিবসে সোমবার বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, তৎকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল বিএনপির কাছ থেকে। দুর্ণীতি, দুঃশাসন করেছিল বিএনপি। কিন্তু তারা বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করেনি। গ্রেফতার করেছিল জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। এ থেকেই প্রমাণিত হয় যে শেখ হাসিনাই গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী।
তিনি বলেন, সেদিন শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে মূলত গণতন্ত্রের পায়েই শিকল পরানো হয়েছিল। স্বাধীনতার পর থেকে নয়, স্বাধীনতার আগেও যখনই এই ভূখণ্ডে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত এসেছে তখনই আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত এসেছে। কিন্তু দেশের মানুষ তা কখনোই মেনে নেয়নি। ২০০৮ সালের ১১ জুন দেশের সাধারণ মানুষ এবং আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা মুক্তি লাভ করেন। এই দিন শুধু শেখ হাসিনা নয়, গণতন্ত্রেরও মুক্তি দিবস।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, সেই সময় বিএনপির পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যে, আসুন এক সঙ্গে আন্দোলন করি তাহলে আপনাদের নেত্রীও মুক্তি পাবে, আমাদের নেত্রীও মুক্তি পাবে। কিন্তু বিএনপির নেতা কর্মীদেরকে তারপর মাঠে দেখা যায়নি। মূলত আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের আন্দোলনের কারণেই বিএনপির নেত্রীও মুক্তি পেয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরাই সব ভয় ভীতি উপেক্ষা করে মাঠে ছিল। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে আওয়ামী লীগই এই দেশে গণতন্ত্রের প্রহরী।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্র বলেন, গত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে বিএনপি নেত্রী বিএনপিকে এক কঠিন সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। খালেদা জিয়া বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, সারা পৃথিবীতে যেভাবে সংসদীয় পদ্ধতির নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবেই হবে। নির্বাচনের সময় বর্তমান সরকারই ক্ষমতায় থাকবে কিন্তু নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। বিএনপির নেতা কর্মীরা চায় নির্বাচনে যেতে। কিন্তু খালেদা জিয়া যদি নির্বাচনে না যান তাহলে তিনি হয়তো আর বিএনপির চেয়ারপার্সনই থাকতে পারবেন না।
‘আওয়ামী লীগ নেতাদের তালিকা করা হচ্ছে’ বিএনপির এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাছেও তালিকা আছে কারা পেট্রোল বোমার রাজনীতি করেছে। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করব শুধু পেট্রোল বোমা হামলাকারী নয়, কারা এর পেছনে অর্থ দিয়েছে, কারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পোড়াতে মদদ দিয়েছে তাদেরও বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হোক।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান আলম সাজু, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দুর্জয়, স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাহাদাত হোসেন টয়েল, আওয়ামী লীগ নেতা এমএ করিম প্রমুখ।