অগ্রসর, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাতারের নিরাপত্তার জন্য সেনা মোতায়নের সিদ্ধান্ত নিল তুরস্ক। কাতারে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনে বুধবার একটি আইন পাস করেছে তুরস্কের সংসদ। মে মাসে খসড়া প্রস্তুত হওয়া বিলটি ২৪০ ভোটে সংসদে পাশ হয়। ক্ষমতাসীন একে পার্টি ও জাতীয়তাবাদী বিরোধী দল এমএইচপি এ বিলের পক্ষে সমর্থন দেয়।
তুরস্কের এ সিদ্ধান্তটি এ মুহুর্তের কূটনৈতিক সংকটে এক ঘরে হয়ে যাওয়া কাতারের প্রতি স্পষ্ট সমর্থন। মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিধর কিছু রাষ্ট্র সকল ধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করে কোণঠাসা করে রেখেছে দেশটিকে।
কাতারের অন্যতম মিত্র হিসেবে তুরস্ক দেশটিতে সেনা ঘাঁটি স্থাপন করতে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সেনা ঘাঁটিও কিন্তু কাতারেই।
সন্ত্রাসী ও চরমপন্থী গোষ্ঠীকে সহযোগীতার অভিযোগে সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এবং সোমবার আকাশপথে সব ধরণের ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের সাথে কাতারের বিপক্ষে যোগ দিয়েছে সৌদিমিত্র জর্ডান, মিশর, মালদ্বীপও।
কাতার জোরালোভাবে তাদের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কয়েক দশকের মধ্যে শক্তিশালী আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় ধরণের দ্বন্দ্ব হিসেবে ধরা হচ্ছে। মূলত হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা পুনর্গঠনে কাতারের বিপুল পরিমান আর্থিক সাহায্যের কারণে আরব দেশগুলো কাতারের বিপক্ষ নিয়েছে।
তুরস্কের রাষ্ট্রপতি তায়েপ এরদোগান আরব রাষ্ট্রসমূহের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “কাতারকে বিচ্ছিন্ন করা এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপের মধ্যে দিয়ে সমস্যার কোন সমাধান করা হবে না এবং আঙ্কারা এ সংকটের অবসান ঘটাতে তার সাধ্যের সবকিছু করবে।”
তুরস্ক কাতারের পাশাপাশি তার উপসাগরীয় আরব প্রতিবেশী দেশগুলোরও সাথে ভাল সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
২০১৫ সালের শেষের দিকে রয়টার্সের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে কাতারের তুরস্কের রাষ্ট্রদূত আহমেদ ডেমিরক বলেন, “যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে তুরস্ক কাতারে ৩০০০ স্থলবাহিনীর একটি ঘাঁটি স্থাপন করবে।” তথ্যসূত্র : আল জাজিরা