অগ্রসর রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি দিবস উপলক্ষে আজ ভোরে নগরীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘরের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পরে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু সময় সেখানে নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে দলীয় প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু এবং মুকুল বোস, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আবদুর রাজ্জাক, মুহাম্মদ ফারুক খান এবং এডভোকেট আবদুল মান্নান খান, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং ব্যারিস্টার মহিবুল হক নাওফেল ও দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক এই দিবস উদযাপনে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে।
১৯৬৬ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দাবির ভিত্তিতে পাকিস্তানী অপশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলনের সূচনা ঘটান।
এই ৬ দফা ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের দাবির ম্যাগনা কার্টা।
বাংঙ্গালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের অধীনে আওয়ামী লীগ এখানকার জনগণের ওপর পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের শোষণ, বঞ্চনা, নিপীড়ন ও অত্যাচারের অবসান ঘটাতে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে ১৯৬৬ সালের ৭ জুন গোটা পূর্ব পাকিস্তানে দিনব্যাপী হরতাল আহ্বান করেন।
এই হরতালের দিনে ঢাকা, টঙ্গী, নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ এবং প্যারা-মিলিটারি ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) গুলি চালিয়ে শ্রমিক নেতা মানু মিয়া, শফিক ও শামসুল হকসহ ১০ জনকে হত্যা করে।
প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন দমনে পাকিস্তানীদের নৃশংসতা বেড়ে যাওয়ায় এই আন্দোলন ১৯৬৯ সালের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এরফলে ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের শাসনের পতন ঘটে।