অগ্রসর ডেস্ক রিপোর্ট : বিশ্বব্যাংকের (ডাব্লিউবি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ বহু চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ বলিষ্ঠ কৃষি কার্যক্রম ও শক্তিশালী সার্ভিসের (সেবা) ওপর ভিত্তি করে অব্যাহতভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখবে।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক এই উন্নয়ন অংশীদারের রোববার প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ইকোনোমিক প্রোস্পেক্ট’ প্রতিবেদনে বলা হয় ‘বিদেশী ও অভ্যন্তরীণ নানাবিধ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বলিষ্ঠ কৃষি কার্যক্রম ও শক্তিশালী সার্ভিসের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে।’
প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ২০১৭ সালে ছয় দশমিক আট শতাংশ এবং ২০১৮ সালে সাত দশমিক এক শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের ভবিষ্যবাণী করা হয়, যাতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও রফতানির ব্যাপক বৃদ্ধি প্রতিফলিত হয়েছে। বাংলাদেশ ২০১৭ অর্থবছরের (১ জুলাই-২০১৬ থেকে ৩০ জুন ২০১৭) ছয় দশমিক আট শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের ভবিষ্যদ্বাণী সহজেই পূরণ করেছে এবং সামনের দিকে এগিয়ে গেছে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, জিসিসি দেশগুলোর সহযোগিতায় রেমিটেন্স প্রবাহ পুনরুদ্ধার, ব্যবসায় আস্থা ও বিনিয়োগে গতিসঞ্চার লাভের ওপর ভিত্তি করে দক্ষিণ এশিয়া ২০১৯ ও ২০২০ অর্থবছরে ছয় দশমিক ৯ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। ২০১৭ অর্থবছরে ভারত গড়ে সাত দশমিক দুই শতাংশ এবং পরবর্তী অর্থবছরে সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পাকিস্তান ২০১৭ অর্থবছরে পাঁচ দশমিক দুই শতাংশ এবং পরবর্তী অর্থবছরে পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। শ্রীলংকা ২০১৭ অর্থবছরে চার দশমিক সাত এবং ২০১৮ অর্থবছরে পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। ভুটান, মালদ্বীপ এবং নেপালও এ সময় প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে এগিয়ে যাবে।