অগ্রসর রিপোর্ট : বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি স্থিতিশীল রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আজ এখানে বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলা হয়।
বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট, মে ২০১৭’ শীর্ষক প্রতিবেদন তুলে ধরে বলেন, ‘দারিদ্র্যের হার হ্রাসসহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো। তবে বাংলাদেশ এর চেয়েও ভালো করতে পারে। দেশটির প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্যে অবকাঠামোর উন্নয়ন ও ব্যবসা ক্ষেত্রের অত্যধিক ব্যয় হ্রাস করা উচিত। পাশাপাশি নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্যে কৌশলগত বিনিয়োগ দরকার।
ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিমিয়াও ফান ও ঊর্ধ্বতন পরিচালক কার্লোস ফিলিপে জারামিল্লো উপস্থিত ছিলেন।
দারিদ্র্যের হার হ্রাস স্থিতিশীল রয়েছে উল্লেখ করে জাহিদ হোসেন বলেন, শ্রম রফতানি পুনরায় শুরু হওয়া, খাদ্য স্ফীতি স্থিতিশীল থাকা ও মজুরি বৃদ্ধি অর্থবছর ১৬ (এফওয়াই ১৬)-তে দারিদ্র্য হ্রাসে অবদান রেখেছে।
তিনি বলেন, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ৬ দশমিক ৮ শতাংশের মধ্যে থাকবে।
জাহিদ হোসেন বলেন, মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি হওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অবকাঠামোর উন্নয়ন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও উদ্ভাবন, বিদ্যুতের উৎপাদন ও বিতরণের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সেক্টরে কর্পোরেট গভর্নেন্সের নিশ্চিতকরণ, বিশ্বায়নের সমন্বয়তা বৃদ্ধি ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রায় তিন শতাংশ প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে পারে।