আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৫৪ ট্যানারির মালিককে হাজারীবাগ এলাকায় থাকতে হলে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছিল। গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থ জমা দিলেও এর পরবর্তী সময়ে তারা ধারাবাহিকতা রাখেনি।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও হাজারীবাগের ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায়ে ব্যর্থতার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে শিল্প সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে তলব করেন হাইকোর্ট।
হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরিয়ে সাভারের হেমায়েতপুরে নিতে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন না করায় গত ১৮ জুলাই ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিনে ১০ হাজার টাকা করে ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ। শিল্পসচিবকে এই অর্থ আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। সেই জরিমানা আদায়ে ব্যর্থতার কারণে শিল্পসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ হাইকোর্ট তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন।
আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে হাজারীবাগে ট্যানারি প্রতিষ্ঠান চালু রাখায় ১৫৪ প্রতিষ্ঠানের মালিককে জরিমানা ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছিলেন হাইকোর্ট। গত ১৮ জুলাই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।