পাশাপাশি ৩ মাসের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলার বিচার কাজ শেষ করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই ৩ জন জামিনে থাকবেন।
বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম ও এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এই আদেশ দেন।
আজ জামিন পাওয়া ৩ জন হলেন- মো. দানা মিয়া, আসাদুল ওরফে আছা ও সাজু মিয়া।
বিচার শেষ না হওয়া বিভিন্ন অভিযোগে করা পৃথক মামলায় ঢাকা, সিলেট ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন কারাগারে ৮ বন্দির দীর্ঘদিন ধরে থাকার তথ্য ১৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস। পরদিন শুনানি নিয়ে আদালত আটজন বন্দীকে কেন জামিন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দেন।
মামলার নথি তলবের পাশাপাশি এই আটজনকে ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে হাজির করতে নির্দেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ ৭ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের পক্ষে শুনানি অংশ নেন আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস।
পরে চঞ্চল কুমার বিশ্বাস বলেন, আজ ৭ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। ৩ জনকে জামিন দেন আদালত।
সাব্বির আহমেদ নামের একজনের নথি আসেনি। মো. জালাল ও অসীম হালদার নামের দুজন মানসিকভাবে অসুস্থ বলে তথ্য রয়েছে। তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে লিগ্যাল এইড অফিসকে যোগাযোগ করতে বলেছেন আদালত। আগামী ৬ মার্চ তাদের বিষয়ে আদালত আদেশ দেবেন। ১৯ জানুয়ারি মো. তকদীর মিয়া নামের একজন জামিন পান। আর ১৪ ফেব্রুয়ারি সাইফুল আলম নামের একজনের সাজা হয়। তকদীর ও সাইফুলের ব্যাপারে কোনো আদেশ হয়নি।