আজ শনিবার সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানা ট্র্যাজেডিতে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা পেছন থেকে ওই ঘটনার ইন্ধন দিয়েছেন, যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তাদেরকেই বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল তাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। অনেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, অনেককেই মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পেয়েছে অনেকে।
শহীদদের পরিবারের পক্ষ থেকে এ দুই দিনকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, আমরা এই দিনটিকে যথাযোগ্যভাবে পালন করে আসছি।
এর আগে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শাহাদাৎবরণকারীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সারোয়ার হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এরপর বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শহীদদের পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা জানান।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার পরপরই পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। সেদিন ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান।