আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চতুর্থ রোল বল ওয়ার্ল্ড কাপ-২০১৭ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের পদ্মা সেতু তৈরি হচ্ছে। সেই পদ্মার চরেই আমরা একটি উন্নতমানের ক্রীড়া পল্লী গড়ে তুলব যেখানে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা আয়োজন এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এমনকি একটি অলিম্পিক কমপ্লেক্সও আমরা ওখানে তৈরি করতে চাচ্ছি।
বাংলাদেশ সফলভাবে আন্তর্জাতিক সব আয়োজন সম্পন্ন করছে মতো দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতিপূর্বে অনেক আয়োজন সফলভাবে শেষ করেছি। এবার রোল বল বিশ্বকাপও তাই। রোল বল খেলাটি খুব পরিচিত খেলা নয়। তবে সময়ের বিবেচনায় খেলাটির পরিধি অনেক প্রসারিত হয়েছে। যা ভারত শুরু করলেও এটি এখন ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা এবং মধ্য প্রাচ্যের কিছু দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মনে করি আমাদের যুব সমাজকে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ বা মাদকাশক্তি থেকে দুরে রাখতে হবে। আর সেটা করতে গেলে খেলাধুলা ও সংস্কৃতির চর্চা একান্তভাবে জরুরি। সেই পদক্ষেপই আমরা নিতে চাচ্ছি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে সকল ক্ষেত্রে স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ শুধু অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে নয়, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও বিশ্বের কাছে অনুস্বরণীয় একটি মডেল। ইতোপূর্বে আমরা আইসিসি ওয়ার্ল্ড কাপ, এশিয়ান কাপ, সাফ গেমস্্, আন্তর্জাতিক টেবিল টেনিস ও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক ফুটবলকাপসহ অনেকগুলো আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। যা দেশ-বিদেশে প্রশংসা অর্জন করেছে।
আগত বিদেশি অতিথিদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা ভুলে যাবেন না বাংলাদেশকে। নিজ নিজ দেশে ফিরে গিয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলবেন, আয়োজন সম্পর্কে বলবেন।
বিপুল সমারোহে এমন বর্ণাঢ্য আয়োজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী সংগঠকদের ধন্যবাদ জানান।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বিরেন সিকদার, উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মো. জাহিদ আহসান রাসেল, আন্তর্জাতিক রোল বল ফেডারেশনের সভাপতি পেনিয়া কাবিঙ্গে এবং সাধারণ সম্পাদক রাজু ডাবাদে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশন প্রথমবারের মতো ঢাকায় ১৭ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘চতুর্থ রোল বল ওয়ার্ল্ড কাপ- ২০১৭’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এবারই প্রথমবারের মতো এই খেলায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩৯টি দেশ ও সর্বোচ্চ ৬২৫ জন ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ করেন।