আজ রবিবার দুপুরে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পবিত্রতা ও মর্যাদা রক্ষা এবং জাদুঘর স্থাপনের নির্দেশনা চেয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট আদেশ দেয়।
আদেশে শহীদ মিনারের পাশে গ্রন্থাগারসহ জাদুঘর প্রতিষ্ঠা এবং জাদুঘরে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সমৃদ্ধ তথ্যপঞ্জিকা রাখা, ভাষা সংগ্রামীদের প্রকৃত তালিকা তৈরি ও প্রকাশ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ ও মর্যাদা রক্ষাসহ ৮টি নির্দেশনা দেয়া হয়।
কয়েক দফা সময় নিয়েও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ওই রায় পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না করায় ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংস্কৃতি ও পূর্ত সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। ওই সময় সংস্কৃতি ও পূর্ত সচিবকে তলব করেছিল হাইকোর্ট। পরে ওই বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি তারা আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগের ব্যাখ্যা দেয়। তখন আদালত তাদের ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে গ্রন্থাগারসহ ভাষাশহীদ জাদুঘর স্থাপন এবং ভাষা সংগ্রামীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নসহ রায় বাস্তবায়নে নির্দেশ দেয়।
এখনো সে বিষয়ে কেন অগ্রগতি না হওয়ায় আদালতের নজরে আনা হলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে পদক্ষেসমূহ জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আদেশের পর সাংবাদিকদের বলেন, একের পর এক নির্দেশনার কোনোটিই গত ৬ বছর বাস্তবায়ন না হওয়ায় আদালতের নজরে আনা হলে বাস্তবায়নের সময় বেঁধে দিয়েছেন।