প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সন্ত্রাসীরা মাজারের গোল্ডেন গেট দিয়ে প্রবেশ করে। একটি গ্রেনেড ছোড়ার পর তারা আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। পুলিশ বলছে, ছুড়ে দেওয়া গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা আত্মঘাতী হামলা চালায়।
লাল শাহবাজ কলন্দর মাজারটি ইন্দাজ মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত। মাগরিবের নামাজের পর সেখানে প্রার্থনাসূচক সুফি সঙ্গীত পরিবেশিত হচ্ছিলো। মাজারের সুফি রীতি অনুযায়ী প্রতি বৃহস্পতিবার সেখানে অসংখ্য ভক্তের সমাগম ঘটে। বৃহস্পতিবার সুফি সঙ্গীত চলার সময়ই সেখানে বিষ্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।
আজ সন্ধ্যার পর সিন্ধুর শেহওয়ান এলাকার লাল শাহবাজ কলন্দর মাজারে আত্মঘাতী ও হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় তালুকা হাসপাতালে অন্তত ৪০ জনের লাশ এসেছে বলে জানান সেখানকার তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক মঈনুদ্দিন সিদ্দিকী। এছাড়া চিকিৎসার জন্য ১০০ জনকে আহত অবস্থায় সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য লিয়াকত মেডিক্যাল কমপ্লেক্স জামশরো ও সাব-ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতদের স্থানীয় তালুকা মেডিকেল, লিয়াকত মেডিকেল ও অন্য কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকার সবগুলো হাসপাতাল জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
পাকিস্তানের চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া জানান, সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে বেসামরিক কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা দিতে শুরু করেছে।
পাকিস্তান এয়ার ফোর্সের একটি সি-১৩০ হেলিকপ্টার হতাহতদের বহন কাজে ব্যবহার হচ্ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এ হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘লাল শাহবাজ কলন্দর মাজারে হামলা পকিস্তানের অগ্রসরমান ভবিষ্যতের উপর হামলা’।প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর বেলুচিস্তান প্রদেশের খুজদার জেলার শাহ নুরানি মাজারে আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। ওই হামলায় ৫২ জন নিহত ও ১০২ জন আহত হন।