একই সঙ্গে কেন প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, যোগাযোগ সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে কমিটি বা কমিশন গঠন ও কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা ৩০ দিনের মধ্যে অগ্রগতি জানাতে বলেছে হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এটি জানাতে বলা হয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ইউনূসের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান, বিচার দাবি’ শিরোনামে জাতীয় দৈনিক ইনকিলাবে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটিসহ কয়েকটি দৈনিকের প্রতিবেদন নজরে এলে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। পরে তিনি জানান, মঙ্গলবার দৈনিক ইনকিলাবে ‘ইউনূসের বিচার দাবি, ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর সঙ্গে আরো কয়েকটি পত্রিকায় আসা প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালত এই রুল জারি করেছে।
বিষয়টি আগামী ২০ মার্চ শুনানির জন্য আবার আদালতে উঠবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের জন্য চুক্তি করেও পরে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে তা স্থগিত এবং পরে বাতিল করে। পরে তাদের বাদ দিয়েই নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ তদারকির ৫ কোটি ডলারের কাজ পেতে এসএনসি-লাভালিনের কর্মীরা ২০১০ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে মামলা হয়েছিল কানাডার আদালতে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে কানাডার আদালত গত শুক্রবার ওই মামলার ৩ আসামিকে খালাস দেয়।