পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান আইনজীবী আনিসুল হক ওই সময়ের স্মৃতিচারণা করেন। সংসদে এ আলোচনার সূত্রপাত করেন জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ।
আনিসুল হক জানান, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা নিজেরাই তদন্ত করতে চাইলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের কথা উল্লেখ করে তা নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে মিটিং করে সেই রাতেই তারা বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের বাসায় কার কার সঙ্গে ডিনার করেছিলেন, তার বিস্তারিত আমার কাছে আছে।’
এ সময় সংসদ সদস্যরা ওই ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করতে বললে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বলব, বলব সবই বলব। আমার কাছে ডিটেইল আছে। এটা নাম বলার প্ল্যাটফর্ম না।’
তিনি বলেন, ‘যারা এই মামলার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারা যদি কোনো আইনজীবীর কাছে যান তারা নিশ্চয় এই পরামর্শ দেবেন, এর জন্য আইনি ব্যবস্থা নেয়া যায়। এখন প্রশ্ন হলো অধিক্ষেত্রটা কোথায় হবে? সেটাও আইনজীবীরা বলে দেবেন। সেটা এখানেও হবে, ওখানেও হবে, আমি বলে দিলাম। বিনা পয়সায় এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না।’
আইনমন্ত্রী এই বক্তব্য দেয়ার পর সংসদে হাসির রোল পরে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘লাভও হয়েছে। বাংলার মানুষ দেখতে পেয়েছে শেখ হাসিনা কতটা দৃঢ়চিত্ত। শেখ হাসিনার আত্মমর্যাদাবোধ কতটা সেটাও প্রমাণ হয়েছে। আজ আমরা বলতে পারছি নিজের পায়ে আমরা পদ্মাসেতু করতে পারছি। এটা কার জন্য? এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনার জন্য।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ঋণেরভারে আমরা কুঁজো হয়ে যেতাম। কিন্তু আজ ঋণ ছাড়াই আমরা পদ্মাসেতু করতে পারছি।’