সুরঞ্জির মৃত্যুর পর আজ রবিবার দুপুরে এক শোকবার্তায় খালেদা জিয়া আরও তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে রাজনৈতিক জীবনে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত যে অবদান রেখেছেন তা জাতি কোনদিন ভুলবে না।’
সুরঞ্জিতকে একজন দক্ষ ও প্রাজ্ঞ রাজনীতিক উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘দেশ ও দেশের মানুষের অধিকারের পক্ষে সবসময় সোচ্চার থেকেছেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন জাতীয় রাজনীতির একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তিনি তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে গণমানুষের রাজনীতিতে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও সামাজিক অগ্রগতির পক্ষে ছিলেন বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। দেশের স্বাধীকারের আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা ও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের সংগ্রামে তার অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য।’
বিবৃতিতে সুরঞ্জিতের আত্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি শোকাহত পরিবার,স্বজন, গুণগ্রাহী ও ভক্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতাও জানান।
উল্লেখ্য, রবিবার ভোরে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন সুরঞ্জিত। তিনি বেশ কয়েক মাস ধরেই ক্যান্সারজাতীয় রোগে ভুগছিলেন।
অন্য এক শোকবাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন অনন্য সংগঠক ও প্রথিতযশা রাজনীতিক হিসেবে উল্লেখ করেন।
আজ রবিবার দুপুরে মির্জা ফখরুল ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে গিয়ে সুরঞ্জিতের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি রাজনীতিতে তার অবদানের কথা স্মরণ করেন।