বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার পর সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে গিয়ে অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও বিধি) আব্দুল ওয়াদুদের হাতে সিলগালা করা চিঠি তুলে দেন।
এর পরপরই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ অতিরিক্ত সচিবের কাছে তার দলের চিঠি পৌঁছে দেন।
পরে বের হওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল রাতে আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির বৈঠকে সবার কাছে নাম চাওয়া হয়। সেখানে যাদের নাম বেশি মানুষের কাছ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছ তাদের মধ্য থেকে ৫ জনের নাম আজ জাম দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ও দলের সাধারণ সম্পাদকের ব্যবস্থানায় এ নাম জমা দেয়া হলো।
নাম প্রস্তাবের ক্ষেত্রে আপনারা কোন যোগ্যতা বিবেচনা করেছেন-প্রশ্নের জবাবে গোলাপ বলেন, আমরা তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড, কর্মজীবনের স্বচ্ছতা দেখেছি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী ও চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার বেলা সোয়া ১২টার দিকে ৫ সদস্যের একটি নামের তালিকা জমা দেন।
নামের তালিকা জমা দিয়ে বের হয়ে রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, আমি একটি মুখবন্ধ খাম মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিবের হাতে জমা দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির কাছে যে ১৩ দফা দাবি জমা দিয়েছিলেন তার আলোকেই আমরা নাম প্রস্তাব করেছি। এ সময় তিনি তালিকায় থাকা কারো নাম বলেননি।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে যোগ দেয়া ৩১টি রাজনৈতিক দলকে মঙ্গলবার বিকাল ৩টার মধ্যে ৫ জনের নামের প্রস্তাব জমা দিতে বলেছে সার্চ কমিটি।
নতুন ইসিতে একজন নারী সদস্য থাকছে। ফলে সার্চ কমিটিকে নারীদের নামও প্রস্তাবে রাখতে বলেছেন রাষ্ট্রপতি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৩১ দলের মোটামুটি অর্ধেকের নামের তালিকার চিঠি তাদের হাতে এসেছে। এর মধ্যে চারটি দল চিঠি পাঠিয়েছিল সোমবার।
সংসদে বিরোধী দলে থাকা জাতীয় পার্টিসহ অধিকাংশ দল নামের প্রস্তাব পাঠাবে বলে জানালেও সিপিবি বলেছে, এভাবে রাজনৈতিক দলগুলো নাম প্রস্তাব করলে ওই ব্যক্তিদের নিয়ে বিতর্ক আরো বাড়বে।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্েযর সার্চ কমিটি দলগুলোর কাছে পাওয়া নাম যাচাই বাছাই করে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের সুপারিশ জমা দেবে। তাদের সুপারিশ থেকেই অনধিক ৫ সদস্যের ইসি নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।