আজ রবিবার বেলা ১২টায় নগরীর রূপাতলীতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ৮-এর সদর দফতরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন।
জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্যরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ৫টি বিদেশি নকনালা বন্দুক, ৭টি বিদেশি দোনালা বন্দুক, ২টি বিদেশি এয়ার রাইফেল, ৫টি ওয়ানশুটার গান, ২টি পয়েন্ট ২২ বিদেশি রাইফেল, ৪টি বিদেশি কাটারাইফেল, ৫টি শটগান, একটি পাইপগান এবং ১ হাজার ৫০৭ রাউন্ড বিভিন্ন প্রকার গোলাবারুদ জমা দেন।
এ সময় র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, স্থানীয় এমপি জেবুন্নেছা আফরোজ, বরিশালের ডিআইজি শেখ মো. মারুফ হোসেন, পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমিন, জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে গত ৭ জানুয়ারি পটুয়াখালীর কুয়াকাটা রাখাইন মহিলা মার্কেট মাঠে ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১ হাজার ১০৫ রাউন্ড গুলিসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন বনদস্যু নোয়া বাহিনীর ১২ সদস্য। এর আগে ২০১৬ সালের ৩১ মে সুন্দরবনের কুখ্যাত বনদস্যু মাস্টার বাহিনীর ১০ সদস্য ৫২টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৪ হাজার ৫০০ রাউন্ড গুলি জমা দিয়ে প্রথমবারের মতো আত্মসমর্পণ করেন। ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই সুন্দরবনের বনদস্যু মজনু ও ইলিয়াস বাহিনীর ১১ জন সদস্য ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১ হাজার ২০ রাউন্ড গুলি জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বনদস্যু আলম ও শান্ত বাহিনীর ১৪ সদস্য ২০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১ হাজার ৮ রাউন্ড গুলি জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। ২০১৬ সালের ১৯ অক্টোবর বনদস্যু সাগর বাহিনীর ১৩ সদস্য ২০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫৯৬ রাউন্ড গুলি জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এ ছাড়া ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর বনদস্যু খোকাবাবু বাহিনীর ১২ সদস্য ২২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১ হাজার ৩ রাউন্ড গুলি জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।