আদেশে আদালত বলেছে, আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দের করা ওই রিট আবেদন ‘মেনটেইনেবল’ নয়।
আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার পদটিতে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুবে আলম। তারপর থেকে টানা ৯ বছর ওই দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
তার বয়স ৬৭ বছর পেরিয়ে যাওয়ায় গত বছরের ৯ নভেম্বর মাহবুবে আলমের পদে থাকার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আকন্দ। পরদিন আবেদনটি বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চে শুনানির জন্য উঠলে তা শুনতে বিব্রতবোধ করেন একজন বিচারক। এরপর প্রধান বিচারপতি তা নতুন বেঞ্চে পাঠান।
‘৬৭ বছর অতিক্রম করলেন মাহবুবে আলম, অ্যাটর্নি জেনারেল পদে থাকা নিয়ে বিতর্ক’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদনটি করেছিলেন ইউনুছ আলী আকন্দ।
ওই সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গত ১৬ ফেব্রুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হয়েছে। আইন সংশ্লিষ্টদের কারও কারও মতে, পরের দিন ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সংবিধানের ৬৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তিনি আর অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে থাকতে পারেন না।’
ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমিরউদ্দিন সরকারকে উদ্ধৃত করে ওই সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হলেই অবসরে যান। অর্থাৎ এরপর তাদের বিচারক পদে থাকাটা অসাংবিধানিক। একই কারণে ৬৭ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে থাকাও অসাংবিধানিক।’
আর রিট আবেদনে বলা হয়, ‘লিগ্যাল রিমেমব্রান্সার ম্যানুয়াল-১৯৬০ অনুযায়ী অ্যাটর্নিদের পদ দুই বছরের জন্য। কিন্তু দুই বছরের আগেও ৩ মাসের নোটিশ দিয়ে রাষ্ট্রপতি তাকে অপসারণ করতে পারেন। কিন্তু ওই আইন লঙ্ঘন করে প্রায় ৮ বছর ওই পদে বহাল আছেন তিনি। সংবিধান মেনে চলা সবারই দায়িত্ব ও কর্তব্য। সাংবিধানিক অন্য সব পদেই নির্ধারিত সময়ের পরে আর কেউ থাকতে পারেন না।’
ওই ব্যাখ্যার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘৬৪ অনুচ্ছেদের কেবল শুরুর অংশ না পড়ে পুরোটা পড়তে হবে। এই অনুচ্ছেদের শেষে ৬৪(৪)-তে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির সন্তোষ অনুযায়ী সময়সীমা পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল স্বীয় পদে বহাল থাকবেন।’