রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক সোমবার সকালে সাড়ে ৭টার দিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে নতুন কোচ সমৃদ্ধ মহানগর প্রভাতী ট্রেন এবং রাত সাড়ে ১০টায় তুর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেন উদ্বোধন করেন।
এ ছাড়া তিনি আজ সকালে নতুন কোচ দ্বারা ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করেন।
রেল মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শরিফুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, ইন্দোনেশিয়া থেকে কেনা নতুন এমজি কোচ দিয়ে মহানগর প্রভাতী ও ভারতীয় বিজি কোচ দিয়ে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের রেক প্রতিস্থাপিত হয়।
মহানগর প্রভাতী ও তূর্ণা এক্সপ্রেসে ১৬টি করে কোচ এবং নীলসাগর এক্সপ্রেসে ১২টি নতুন কোচ সংযুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মহানগর প্রভাতী ও তুর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে ২টি এসি বার্থ বা স্লিপার ও ১টি নন এসি স্লিপার, ৪টি এসি চেয়ার, ৬টি শোভন চেয়ার, ১টি পাওয়ার কার এবং ২টি গার্ড ব্রেকভেন রয়েছে। নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ১টি এসি বার্থ বা স্লিপার ও ১টি নন এসি স্লিপার, ১টি এসি চেয়ার, ৬টি শোভন চেয়ার, ১টি পাওয়ার কার এবং ২টি গার্ড ব্রেকভেন রয়েছে।
রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার রেলপথে যাত্রীদের নিরাপদ ও আরামদায়ক যাত্রার বিষয়টি মাথায় রেখে ট্রেনে নতুন কোচ সংযোজনের উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি জানান, রেলওয়েতে বর্তমান সরকার ৪৯টি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়, যার বেশ কয়েকটি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে রেল যোগাযোগে আমূল পরিবর্তন আসবে। বর্তমান সরকারের আমলে নতুন করে আরও প্রায় ৮শ’ যাত্রীবাহী কোচ কেনা হবে। নতুন কোচগুলো এলে নতুন ট্রেন চালানোসহ চলমান পুরাতন কোচগুলো বদলে ফেলা হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানা গেছে, ১৯৭২ সালের রেলওয়েতে ১ হাজার ২৪৭টি যাত্রীবাহী কোচ ছিল। ৪৪ বছরে কোচ বেড়েছে মাত্র ২৪৩টি। একই সময়ে যাত্রী পরিবহন প্রায় সাতগুণ বাড়লেও তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কোচ কিংবা ইঞ্জিন বাড়ানো হয়নি। পুরনো কোচগুলোর প্রায় ৬০ শতাংশেরই স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে গেছে।