ফরিদপুর, (ভাঙ্গা) প্রতিনিধি- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার গঙ্গাধরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় দুই শিক্ষকের খাতায় একই নাম লেখাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করেছে কর্তৃৃপক্ষ। এ ব্যাপারে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোপের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, গঙ্গাধরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলে ১৬ জন শিক্ষক উক্ত পদের জন্য আবেদন করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ম্যানেজিং কমিটি ১১ই আগষ্ট পরীক্ষার দিন ধার্য করে। নিজ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য নুর হোসেন ও পিঞ্জিরা বেগমের আবেদনের কারনে উপজেলা হল রুমে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলোমগীর হোসেন। দুপুর ২ টা পনের মিনিটের সময় লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময় ১০ জন শিক্ষক পরীক্ষায় অংশ নেয়। দেড় ঘন্টা পরীক্ষা শেষে ৩.৪৫ টায় খাতা নেওয়া শুরু করে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। চারটি খাতা নেওয়ার পর তিনি দেখতে পান দুটি খাতায় একই নাম মোঃ ইকরাম হোসেন লেখা আছে। এদের মধ্যে নাম দেখে দুইজনের খাতা তাদের নিকট দিলে বাকী থাকে মোঃ ইকরাম হোসেন ও এম এম সাইদুর রহমান বাবু। দুটি খাতা থেকে প্রমানিত হয় সাইদুর রহমান বাবু তার খাতায় তার নিজ নাম না লিখে লিখেছে ইকরামের নাম। অতপর দ্রুত সব খাতা নিয়ে নেন শিক্ষা অফিসার।
এ সময় ঘটনা স্থল থেকে ইকরাম ও বাবু সটকে পড়ে। এ দিকে ফলাফলের জন্য শিক্ষকরা সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করে। সন্ধ্যায় বিদ্যালয়ের সভাপতি সকলকে জানান নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের প্রশ্ন তাদের ডেকে এনে কেন এই নাটক করা হল? যেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিক্ষা অফিসার, সভাপতি থেকে পরীক্ষা নেন। সেখানে এমন কাজ কেউ আশা করে না।
ভাঙ্গার শুশীল সমাজের একটাই প্রশ্ন কেন? এবং কার স্বার্থে এই অপরাধীদের আটক করা হলো না? এ ব্যাপারে শিক্ষা অফিসারের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ব্যাখ্যা সভাপতি বলবেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি জাহাঙ্গীর মৃধার নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি চশমা ছাড়া কিছু দেখি না। আমার নিকট থেকে রেজুলেশন খাতায় স্বাক্ষর নিয়েছে। অভিভাবক সদস্য তৈয়াবুর রহমান, মোঃ ওমর ফারুক বলেন, ভেবেছিলাম এখানে নিরপেক্ষ জায়গা কিন্তু যা ঘটল তা আমরা বলব কার কাছে?
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময় ত্রুটির জন্য নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।