তার ভাই ডা. মোফাখ্খারুল এবিনিউজকে জানান, আজ সোমবার ভোর ৬ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউণ্ডেশন হাসপাতালে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি আগরতলা মামলার ২২ নম্বর আসামি ছিলেন এবং ২ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু তাকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে নিয়ে আসেন। ৭৫ এর নভেম্বরে তিনি দেশ ত্যাগ করে প্রথমে ভারত তারপর যুক্তরাষ্ট্র হয়ে কানাডায় অভিবাসী হন।
গত ডিসেম্বর মাসে তিনি বাংলাদেশে আসেন। দেশে এসে তিনি মাইজদিতে বেড়াতে যান। সেখানে শরীর খারাপ হওয়ায় স্থানীয় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। গত রবিবার তাকে হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয়। পরে সোমবার ভোর ৬টার দিকে তিনি মারা যান।
পারিবারিক সহযোদ্ধা সাগর লোহানী বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। তার মতো মুক্তিযোদ্ধাকে আমরা যথাযথ সম্মান দেখাতে পারিনি। তার লাশ যেন মাতৃভূমিতেই দাফন করা হয় সে বিষয়ে আমরা চেষ্টা করবো।’
প্রসঙ্গত, মাহফুজুল বারী ১৯৩৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর রামগতিতে জন্ম গ্রহণ করেন। পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে থাকাকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বাসায় তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন এবং গোপনে আন্দোলনের জন্য কাজ করেন। ১৯৬৬ সালে করাচীর ড্রিক রোডস্থ এয়ার ব্যাজ থেকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতারের পর নির্মম নির্যাতন করা হয়। ১৯৬৯ সালে তিনি মুক্তি লাভ করেন। বঙ্গবন্ধুর স্নেহভাজন বারী ১৯৭১ সালে ২ নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে গোয়েন্দায় নিয়োজিত হয়ে খবরাখবর এবং তথ্যাদি আদান প্রদান করেন। এসব নিয়ে সময় প্রকাশন ২০১৫ সালে প্রকাশ করে তার লেখা বই ‘অভিযুক্তের বয়ানে আগরতলা মামলা’।