শীর্ষ ৮ ধনী ব্যক্তি হলেন- মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস; স্প্যানিশ ব্যবসায়ী অ্যামানসিও ওর্তেগা; মার্কিন ব্যবসায়ী ওয়ারেন বাফেট; মেক্সিকান ব্যবসায়ী কার্লোস স্লিম; ই-কমার্স ওয়েবসাইট আমাজনের প্রধান জেফ বেজস; ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ; সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওরাকলের প্রধান নির্বাহী ল্যারি অ্যালিসন এবং নিউ ইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ।
বিশ্বের শীর্ষ ধনী বিল গেটসের মোট সম্পদের পরিমাণ ৭৫০০ কোটি ডলার। অন্যদের মধ্যে অ্যামানসিও ওর্তেগা ৬৭০০ কোটি ডলার; ওয়ারেন বাফেট ৬০৮০ কোটি ডলার; কার্লোস স্লিম ৫০০০ কোটি ডলার; জেফ বেজস ৪৫২০ কোটি ডলার; জাকারবার্গ ৪৪৬০ কোটি ডলার; ল্যারি অ্যালিসন ৪৩৬০ কোটি ডলার এবং ব্লুমবার্গ ৪০০০ কোটি ডলার সম্পদের মালিক।
অক্সফাম বলছে, ধনী-দরিদ্রের মধ্যে সম্পদের ব্যবধান কমাতে বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসতে হবে। নতুবা বৈষম্যের বিরুদ্ধে জনরোষ বাড়তেই থাকবে। বৈষম্যের কারণে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বড় ধরনের আলোড়ন তৈরি হবে। অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী উইনি বাইয়ানিমা বলেন, বিপুল পরিমাণ সম্পদ অল্প কিছু মানুষের হাতে রয়েছে- এটা খুবই চিন্তার বিষয়। অথচ এখনও প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন মাত্র ২ ডলারে দিনযাপন করে। আর বৈষম্যের কারণে কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্যের ফাঁদে আটকা পড়ছে। এতে সমাজ ও গণতন্ত্রের মধ্যে ফাটল তৈরি হচ্ছে।
২০১৬ সালের শুরুতে অক্সফামের একই ধরনের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, পৃথিবীর অর্ধেক পরিমাণ সম্পদ ৬২ জন অতি ধনীর হাতে ছিল। পরবর্তীতে তা সংশোধন করে ৯ জনে নামিয়ে আনা হয়।