আরাস্তু খান বলেন, ‘কেউ যদি স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত না হন তাহলে চাকরি যাবে না। কারও চাকরি খাওয়ার কোনও ইচ্ছা আমাদের নাই। আমরা চাই ব্যাংকের যে কোনো স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত না হোন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি অত্যন্ত ভালো ব্যাংক। এই ব্যাংক এ বছরও দুই হাজার তিন কোটি টাকা মুনাফা করেছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে আরাস্তু খান বলেন, নিজের নিয়োগকে তিনি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বলে মনে করেন না। তিনি বলেন, ‘কর্মচারীদের মনে শঙ্কা থাকা উচিত না। পরিচালনা বোর্ড অত্যন্ত দক্ষ। পরিচালনা বোর্ডে যারা আছেন তারা সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে দক্ষ।’
উল্লেখ, সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা আনোয়ারকে অপসারণ করে নতুন পরিচালক আরাস্তু খানকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই দিনই ব্যাংকটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদেও এসেছে নতুন মুখ।
পরের দুই দিন ব্যাংকটির ডিএমডি পদেও আসেন নতুন কয়েকটি মুখ। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় ব্যাংকটিকে ‘জামায়াত মুক্ত করতেই’ এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর ব্যাংকটির সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে চাকরি হারানোর আতঙ্ক দেখা দিলেও কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দিয়েছে তাদের চাকরি হারাতে হবে না।