সমাবেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার ডাকে সারা দিয়ে দেশের মানুষ অস্ত্র হাতে নিয়ে নয় মাস যুদ্ধ করে দেশকে শত্রুমুক্ত করেছিল। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিল এ দেশের জনগণ। ৩২ নম্বরের বাসা থেকে বঙ্গবন্ধু যেসব নির্দেশ দিতেন, তা জনগণ মেনে নিতো। কিন্তু ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ হানাদার বাহিনী এদেশে গণহত্যা শুরু করে। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করে দেশকে শত্রুমুক্ত করার আহ্বান জানান। তার ডাকেই সাড়া দিয়ে যুদ্ধ করে এদেশের মানুষ দেশকে স্বাধীন করে। এই মাঠেই হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল।’
তিনি বলেন, “যুদ্ধের ভয়াবহতা কাটিয়ে বাংলাদেশের মানুষ যখন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। আর এরপর যারাই ক্ষমতায় এসেছে, ‘নিজেদের আখের গোছানোই’ ছিল তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল।”
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা কখনো জাতিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দিতে চায়নি। কারণ তাদের দেহ এ দেশে থাকলেও মন পড়ে থাকত পাকিস্তানে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই উদ্যানেই বঙ্গবন্ধু কীভাবে একটি স্বাধীন দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা যায়, তার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি ভাষণে বলেছিলেন, ‘আমার দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য, আশ্রয় পাবেন, উন্নত জীবন পাবেন , এই আমার স্বাপ্ন।’
লা আড়াইটায় ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে জনসভার কার্যক্রম শুরু করেন দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।