
ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, ওই ২ জঙ্গির মাথাসহ শরীরের একাধিক স্থানে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। গুলিগুলো তাদের শরীরের একদিকে দিয়ে ঢুকে অন্যদিক দিয়ে বেরিয়ে গেছে। জঙ্গি সাদ্দামে শরীর থেকে ৩টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নিহত জঙ্গিদের পরিবারের কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তাই তাদের মরদেহ মর্গের রাখা হবে।
নিহত দু’জনের ভিসেরা, ডিএনএ ও মাসল টিস্যু সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের শরীরে কোনো মাদকের অস্তিত্ব আছে কিনা সেজন্য রক্ত ও ইউরিন পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান সোহেল মাহমুদ।
গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে তাদের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মোহম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন এই দুই জঙ্গি।
উল্লেখ্য, গুলশান হলি আর্টিজান রেস্তুরাঁয় হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন জঙ্গি মারজানের প্রকৃত নাম নুরুল ইসলাম। আনুমানিক বয়স ২২-২৩ বছর। পুলিশের তদন্তে গুলশান হামলার ‘অপারেশন কমান্ডার’ হিসেবে মারজানকে শনাক্ত করা হয়।
মারজানের বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আফুরিয়ায়। মো. নাজিম উদ্দিন ও সালমা খাতুনের ১০ সন্তানের মধ্যে মারজান চতুর্থ। তিনি ১ বছর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন।
গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে তিনি পাবনা শহরের পুরাতন বাঁশবাজার আহলে হাদিস কওমি মাদরাসায় ভর্তি হন। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি পাবনা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে দাখিল ও আলিম পাস করেন। এরপর ২০১৪ সালে ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে।