স্বর্ণমানব শরীফ আহমেদের পাসপোর্ট নং ইগ ০৮০৬৭৩১, বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং ময়নামতি বাজার।
শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মইনুল খান জানান, মালিন্দ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ওডি১৬২-এ রাত সোয়া ১২টায় শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
শুল্ক গোয়েন্দা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই যাত্রীকে নজরদারিতে রাখে। কাস্টম হলের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করে চলে যাওয়ার সময় চ্যালেঞ্জ করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শরীফ আহমেদকে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদেও তার কাছে স্বর্ণবার থাকার কথা অস্বীকার করতে থাকেন। শুল্ক গোয়েন্দার দল রাত ৩ টায় উত্তরা উইমেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যান তাকে। ডাক্তার যাত্রীর পেটে এক্সরে সম্পন্ন করান। এতে রেক্টামে ৩টি অস্বাভাবিক পোটলার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এক্সরে রিপোর্ট দেখালেও যাত্রী অস্বীকার করছিলেন।
এরপর শুল্ক গোয়েন্দাদের উদ্যোগে কর্তব্যরত ডাক্তার তলপেট কেটে স্বর্ণ বের করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিলে তিনি নমনীয় হন। অপারেশন ছাড়া স্বর্ণ বের করে দেবেন বলে ওয়াদা করেন তিনি।
পরে টয়লেটের অভ্যন্তরে বিশেষ কায়দায় পায়ুপথ দিয়ে একে একে ৩টি কনডম বের করে আনেন ৩৩ বছর বয়সী যাত্রী শরীফ আহমেদ। বের করা ৩টি কনডমের ভেতর থেকে ৪টি করে মোট ১২টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়।
শুল্ক গোয়েন্দাদের নজরদারির হাত থেকে বাঁচার জন্য এই অভিনব পদ্ধতি গ্রহণ করেন বলে তিনি জানান।
আটক শরীফ আহমেদকে গ্রেফতার এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।