আজ রবিবার সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন ২০১৬-এর দ্বিতীয় দিনে কর্মঅধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের নিম্ন আদালতে প্রায় ২৭ লাখ মামলার জট আমরা বয়ে বেড়াচ্ছি। অনিষ্পন্ন মামলার এই বোঝা আদালত ব্যবস্থাপনাকে গতিহীন করতে পারে। মামলার ব্যয় বাড়িয়ে দিতে পারে। এ কারণে মানুষ তার বিরোধকে আদালতে আনতে নিরুৎসাহিত হতে পারে। আগ্রহী হতে পারে বিচারবহির্ভূত পন্থায় অর্থ বা পেশিশক্তির মাধ্যমে সুবিধাজনক সমাধান প্রাপ্তিতে। ফলে আইনের শাসনের প্রতি জনগণের আস্থা শিথিল হতে পারে। সমাজে অসহিষ্ণুতা ও সংঘাতের প্রসার ঘটতে পারে।
অধিবেশনে উপস্থিত জেলা জজদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, জেলা জজরা নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে উপস্থিত হবেন এবং নিয়মানুবর্তিতা ও নিষ্ঠার প্রতি সচেতন থাকবেন। কোনো সীমাবদ্ধতা সুবিচার না দেয়ার অজুহাত হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না।
আইনজীবদের উদ্দেশে সুরেন্দ্র কুমার বলেন, আইনজীবীরা বিচার ব্যবস্থা অপরিহার্য অঙ্গ। একজন আইনজীবী কোর্টের অফিসার, তার প্রাথমিক দায়িত্বই সুবিচার নিশ্চিত করতে আদালতকে সহায়তা করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা হোসনে আরা আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিচারক আবদুল ওয়াহাব মিয়া, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।