পূর্ব নির্ধারিত লং মার্চ কর্মসূচি অনুসারে আজ রবিবার সকাল থেকেই যাত্রাবাড়ী, শনিরআখরা, রায়েরবাগ, শানারপাড় ও কাঁচপুর এলাকা থেকে হাজার হাজার চরমোনাই পীরের মুরিদ (ভক্ত) প্রেস ক্লাবের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। পরবর্তীতে পল্টন মোড়ে পুলিশ বাধা দিলে সেখানেই সমাবেশ করে তারা।
বিশৃঙ্খলা এড়াতে ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশের সাঁজোয়া যান, জল কামান ও রায়টকারও প্রস্তুত থাকতে দেখা যায়।
গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের ৩টি সীমান্ত পোস্টে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ হামলায় ৯ সীমান্ত পুলিশ নিহত হওয়ার পর রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জেলাগুলোতে শুরু হয় সেনা অভিযান। এরপর থেকে সহিংসতায় বহু রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে, সহিংসতা থেকে বাঁচতে অন্তত ২৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে বলে জাতিসংঘের তথ্য।
মিয়ানমারে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর হত্যা, নির্যাতন বন্ধ করা, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়া এবং রাখাইনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম এই লংমার্চের ঘোষণা দেন।
ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে গাড়িতে করে কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারে যাওয়ার পথে বিভিন্ন স্থানে পথসভা করারও ঘোষণা রয়েছে এ সংগঠনের।
বায়তুল মোকাররমে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের অনেকেই অভিযোগ করেন, লংমার্চে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকায় আসার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়ছেন তাদের কর্মীরা।
ইসলামী আন্দোলন চকবাজার শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, তারা ৩টি গাড়ি নিয়ে যাত্রা করার পথে চকবাজার থানাপুলিশ তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছে।