উল্লেখ্য, গত বছরের ১ আগস্টে সর্বশেষ গ্যাসের দাম বাড়িয়েছিল বিইআরসি। তখন গড়ে ২৬.২৯ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। এবারও গড়ে ২৫ থেকে ৩০ ভাগ দাম বাড়ানো হতে পারে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন কোম্পানির প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের ৭ থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে সব পর্যায়ের গ্রাহকরা দাম বৃদ্ধির এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। বিইআরসি সূত্র জানিয়েছে, বাসাবাড়ির গ্যাসের দাম দুই চুলার জন্য মাসিক বিল ৬৫০ টাকা থেকে বেড়ে এক হাজার টাকা হতে পারে। এ ছাড়া সিএনজির দাম প্রতি ঘনমিটার ৩৫ থেকে বেড়ে ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা, গৃহস্থালিতে মিটারভিত্তিক গ্যাসের দাম ৭ থেকে বেড়ে ৯ থেকে ১০ টাকা এবং শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত ক্যাপটিভ বিদ্যুতের জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৮ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১০ টাকা হতে পারে। অন্য খাতেও গ্যাসের দাম সামান্য হলেও বাড়তে পারে। গড়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ানো হতে পারে।
গ্যাসের সংকট সত্ত্বেও কেন দাম বাড়ানো হচ্ছে- জানতে চাইলে বিইআরসি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, পেট্রোবাংলার ওপর আরোপিত করের পরিমাণ বেড়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস কোম্পানিগুলোর কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বেড়েছে। তাই গ্যাসের দাম বাড়াতে হচ্ছে। কারণ, এ ছাড়া তাদের আয়ের অন্য কোনো উপায় নেই। সরকার ভর্তুকি দিলে দাম অল্প বাড়ালেই চলত। সরকার ভর্তুকি দিতে চাইছে না। তবে কমিশনের চেষ্টা থাকবে বৃদ্ধির হার যেন গ্রাহকদের জন্য সহনীয় পর্যায়ে থাকে।