অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জাইকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমাদের একদিন বৈঠক হল। ওই দিনই জাপানের অর্থমন্ত্রী তারো আসো’র সঙ্গে বৈঠক হয়। তিনি বললেন, আলোচনার কোন বিষয় নেই। কেননা সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই অ্যাডভাইজারি বাতিল। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন ধরণের রিজার্ভেশন আর নেই। এখন এটা ইফেকটিভ হতে যা সময় লাগবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘জাপান সফরে দেশটির অর্থমন্ত্রী এবং জাইকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে উদগ্রীব। তারা বলেছেন বাংলাদেশে বিনিয়োগে এখন আর কোনো ঝুঁকি নেই। প্রাইভেট ও সরকারি- উভয় খাতেই বড় বিনিয়োগ করবে জাপান।’
আজ রবিবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জাপান কখনোই বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেনি। এমনকি হলি আর্টিজানের মতো জঘন্য ঘটনায়ও তারা বিনিয়োগে আগ্রহ হারায়নি। তারা শুধু তাদের কর্মীদের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এই বিনিয়োগে চীন এবং ভারতের মতো জাপানও সঙ্গী হবে।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুলাই মাসে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিক নিহত হন। তাদের বেশির ভাগই জাপানের। এ ঘটনার পর জাপানের কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের বাংলাদেশ সফর সাময়িকভাবে স্থগিত করে।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘হলি আর্টিজানের ঘটনার পর সরকার সব পরিস্থিতি সুন্দরভাবে মোকাবেলা করেছে। এখন আর নিরাপত্তা সংকট নেই। ’
‘সো দিস ওয়াজ এ ভেরিগুড ইনফরমেশন, ভেরি গুড থিংকস অব আমাদের দেশের জন্য। জাপানের যে রেস্ট্রিকশন বাংলাদেশের জন্য ছিল ইন ডুইং বিজনেস, দ্যাট হ্যাজ বিন উইথড্র’ বলেন মুহিত।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি ফিরে এসে প্রধানমন্ত্রীকেও এসব ব্যাপারে অবহিত করি।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষযে সিআইডির প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রতিবেদনটি এখনও দেখিনি। এবিষয়ে কথা বলা যাবে না।’
এ সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মেজবাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।